চলুন জেনে নি কী এই PCOS
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) হল হরমোনজনিত ব্যাধি যা প্রজনন বয়সী তরুণ এবং মধ্যবয়সী মহিলাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। PCOS-এ আক্রান্ত মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক হতে পারে এবং এন্ড্রোজেন নামক হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। এছাডাও, ডিম্বাশয়ের বাইরের প্রান্ত বরাবর তরলের বেশ কয়েকটি ছোট থলি ( সিস্ট) এর গঠন লক্ষ্য যায়।
PCOS এর লক্ষন কী কী?
- চুল পাতলা হওয়া বা চুল পড়া
- ওজন বৃদ্ধি
- পিম্পল/ব্রণ
- মেজাজ পরিবর্তন
- গর্ভধারণে অসুবিধা
- পেটে বা পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা
- ঘাড়ে, কুঁচকিতে এবং স্তনের নিচে ত্বকের কালো দাগ
- মুখ, বুক, পিঠ এবং নিতম্বে অপ্রত্যাশিত ভাবে চুলের বৃদ্ধি
- অস্বাভাবিক পিরিয়ডস: অনিয়মিত, ভারী বা অনুপস্থিত
অনুগ্রহ করে নোট করুন : বিভিন্ন মহিলাদের মধ্যে লক্ষণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, সমস্ত লক্ষণ সবার মধ্যে দেখা যায় না।
কেন PCOS আজকাল প্রায় যুবতী মহিলাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে?
PCOS-এর ক্রমবর্ধমান প্রসারের সঠিক কারণ সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায় না, তবে জেনেটিক্স, জীবনধারার পরিবর্তন এবং পরিবেশগত পরিবর্তনের মতো কারণগুলি এর প্রধান কারণ হিসাবে গণ্য করা হয় । এছাড়াও, ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং শরীরে ইনসুলিনের উচ্চ মাত্রা PCOS এর বিকাশে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়।
PCOS এর চিকিৎসা হয় কি?
PCOS জীবনধারা পরিবর্তন, ওষুধ বা উভয়ের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা ।
চিকিত্সা প্রধানত উপসর্গগুলিকে কম ও নিয়ন্ত্রণনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, উদাহরণস্বরূপ, বন্ধ্যাত্ব, মুখের চুল, ব্রণ বা স্থূলতা এগুলির নিরাময় করা হয়।
4টি জীবনধারা পরিবর্তন যা PCOS নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
1. অতিরিক্ত ওজন কমানোর মাধ্যম
এমনকি 10% ওজন হ্রাসের ফলে শরীরের কোষগুলি দ্বারা ইনসুলিনের ভাল গ্রহণ এবং ব্যবহার, বর্ধিত হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক করে, ডিম্বস্ফোটন নিয়মিত করে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
2. আপনার শরীরকে সঠিক পুষ্টি প্রদান করুন
স্বাস্থ্যকর খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যেমন, ব্যাথা কম করায় এবং কোষ দ্বারা ইনসুলিনের ব্যবহার উন্নত করে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, অত্যাধিক শর্করা যুক্ত খাবার এবং মনভরা খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন । এর পরিবর্তে ফাইবার এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।
3. আপনার শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা বৃদ্ধি করুন
শারীরিক কার্যকলাপ ইনসুলিন প্রতিরোধ ( Insulin resistance) ঠিক করে এবং ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত ব্যায়াম , তা দিনে 30 মিনিট হোক বা প্রতি সপ্তাহে মোট 150 মিনিট, এটি PCOS-এর সাথে যুক্ত বিপাকীয় এবং প্রজননগত লক্ষণগুলিকে নিরাময় করতে পারে।
4. মানসিক চাপ কে টাটা বলুন
স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে ও লক্ষণগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। মানসিক চাপ কমানো হরমোনের ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে PCOS-কে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
Source :
1. PCOS Society of India Publications
2. https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/32342454/