আমরা মন দিয়ে প্রেম করি নাকি মস্তিষ্ক দিয়ে ? চলুন দেখেনি -The Science of Falling in Love

 গান, রোমান্টিক কবিতা, ভালোবাসার গল্প, রোমান্টিক মুভি সব কিছুর পেছনে ভালোবাসা হলো শরীরের এক জটিল পক্রিয়ার ফল বিশেষ । ভালোবাসা শুধুমাত্র একটি রোমান্টিক আবেগ নয়; এটি আমাদের জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানে গভীর নিকটস্থ। এখানে ভালোবাসার পিছনে বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারণ দেওয়া হল:

উদ্দীপক স্থান (Hot Spots )

 শরীরের কাম স্থান (Erogenous Zones) গুলি উত্তেজনার উদ্দীপনা ঘটায়, যার ফলে শরীরে কাম আসক্তি জন্মায়।এগুলি হল পুরুষ ও নারী শরীরের উদ্দীপক স্থান (Hot Spots)

চলুন ধীরে ধীরে প্রেমে পড়া যাক :-

_Indian unmarri 1 (2)
_Indian unmarri 1 (1)
a Indian couple 0
a couple are in 0

Previous
Next

প্রথম ধাপ:-   বহিরাগত কোনো অবস্থার পরিপেক্ষিতে মস্তিষ্কের অন্তরস্থলে অবস্থিত হাইপোথ্যালামাস (Hypothalamus) ডোপামিন (Dopamine) ক্ষরণ করে, যার ফলে শরীরে আনন্দ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয় ধাপ:-  যেই শরীরে ডোপামিন এর মাত্রা বাড়তে থাকে অন্যদিকে সেরোটোনিন (Serotonin) এর মাত্রা কমতে থাকে।

সেরোটোনিন (Serotonin) একজন ব্যাক্তির মানসিক অবস্থা, ক্ষুদা ও বিশেষ কিছু কার্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
* সাধারণের থেকে কম মাত্রার সেরোটোনিন (Serotonin)  Obsession এবং Infatuation এর কারণ হতে পারে
* যেসব মানুষেরা Obsessive Compulsive Disorders - এ ভুগছেন তাদের শরীরে সেরোটোনিন (Serotonin) খুব নিন্ম মাত্রায় থাকে।
 তৃতীয় ধাপ:-  ডোপামিন এর পাশাপাশি শরীরের Corneal Cells নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টর (Nerve Growth Factor) নামে এক প্রকার বিশেষ উপাদান ক্ষরণ করে।
  •  যারা নতুন প্রেমে পড়ে তাদের মধ্যে NGF বেশী মাত্রায় লক্ষ্য করা যায়।
  • যেসব ব্যাক্তিরা ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে থাকে না অথবা দীর্ঘকালীন সম্পর্কের মধ্যে আছে তাদের শরীরে তুলনামূলক ভাবে কম মাত্রায় NGF দেখা যায়।
  • শরীরে যত বেশি মাত্রায় NGF তৈরী হবে তত বেশি গভীর রোমান্টিক অনুভূতির সৃষ্টি হবে।

 

 চতুর্থ ধাপ:- কারোর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং  কারোর প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মূলক অনুভূতির পেছনে Oxytocin এবং Vasopressin নামক দুটি হরমোন দায়ী ।

  • হাইপোথ্যালামাস (Hypothalamus) এই দুটি হরমোন উৎপাদন করে।
  • এরপর সেগুলি পিটুইটারি গ্রন্থি-তে সঞ্চিত হয় ও সেখান থেকে ক্ষরিত হয়।
  • সর্বাধিক উত্তেজনার মুহূর্তে (যেমন Orgasm এর সময়) এই হরমোন গুলি ক্ষরিত হয়ে রক্তে মিলিত হয়।
  • দীর্ঘকালীন সম্পর্ক বজীয়ে থাকার পেছনে এই দুটি হরমোনের বিশেষ ভূমিকা আছে।

 পঞ্চম ধাপ:-   এই সব হরমোন গুলি সম্মিলিত ভাবে কার্য করে বিভিন্ন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।

  •   মস্তিষ্কের Romantic Core অংশের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়

                               ↓  

  •             Amygdala নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে

                                ↓

  • অপরকে বিচার করার মনোভাব লোপ পেতে থাকে

                                 ↓

  • যে ব্যাক্তি ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে আছে সে কম ভয় ও মানসিক চাপ অনুভব করে

                                   ↓

  • যার ফলে দুটি ব্যাক্তিত্বের মধ্যে ভালোলাগা বাড়তে থাকে ও তারা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

 Source : 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *